ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবীতে সাঁওতালদের বিক্ষোভ
ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবীতে সাঁওতালদের বিক্ষোভ

সংযোগ ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগ বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সাঁওতালরা। নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী মানুষ তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জের কাটামোড়ে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইপিজেড নির্মাণের নামে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ভেতরে সাঁওতালদের বাপ-দাদার তিন ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। শহীদ শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মারডির রক্তে ভেজা জমিতে ইপিজেড করা যাবে না। গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আদিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। সাঁওতালসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খায়রুল চৌধুরী, লেখক-গবেষক পাভেল পার্থ, এএলআরডির পরিচালক শামসুল হুদা, এএলআরডির আইন বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যাড. রফিক সিরাজী, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, রেজাউল করিম মাস্টার, ময়নুল ইসলাম, স্বপন শেখ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আদিবাসী নেতা প্রিসিলা মুরমু ও অ্যাড. ফারুক কবীর।
এ সময় হামলা, অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। পাশাপাশি গুলিতে নিহত ও আহত সাঁওতাল পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ, জমি পুনরুদ্ধার চুক্তি বাস্তবায়ন, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ চিহ্নিত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা। ইক্ষু খামারসংলগ্ন মাদারপুর, জয়পুরপাড়া ও সাহেবগঞ্জ মেরীসহ কয়েকটি গ্রাম থেকে তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে শত শত সাঁওতাল ও বাঙালি বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। ২০১৬ সাল থেকে